প্রকাশিত: Sat, Mar 23, 2024 12:05 PM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 5:32 PM

[১]বিরোধীদের কোণঠাসা করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার [২]কেজরীওয়ালকে গ্রেপ্তার নিয়ে নির্বাচন কমিশনে ইন্ডিয়া

ইকবাল খান: [৩] ভারতে বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল গ্রেপ্তারের ঘটনায় শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা। 

[৪] বৈঠকের পর বেরিয়ে তাঁরা জানান, এই ঘটনায় কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা। কারণ, ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে আসলে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

[৫] আনন্দবাজার জানায়, শুক্রবার কেজরীওয়ালের গ্রেপ্তারা এবং বিরোধীদের হেনস্থা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে যায় ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধি দল। পশ্চিম বঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের দু’জন প্রতিনিধিও ছিলেন সেই দলে। 

[৬] বৈঠকের পর বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এখানে প্রায় সব ক’টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে যা হয়েছে (কেজরীওয়ালের গ্রেপ্তার), তা নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এটি কোনও ব্যক্তি বা দলের বিষয় নয়, সংবিধানের সাধারণ কাঠামোর বিষয়। নির্বাচনের জন্য সমান, সমতল মাঠ প্রয়োজন। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল এজেন্সির অপব্যবহার করে সেই সমতল মাঠটির ক্ষতি করছে। এতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন, সর্বোপরি গণতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ছে।’’

[৭] অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আরও বলেন, ‘‘ভোটের আগে মাঠ সমতল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। তাই এই ব্যাপারে আমরা কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। স্বাধীন ভারতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও জনগণ-নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তাার করা হল। পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কী ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, আমরা তার প্রমাণও দিয়েছি কমিশনকে।’’

[৮] উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে তাঁকে আট বার সমন পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল নবম সমনের দিন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে হাজিরা না দিয়ে কেজরীওয়াল পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লি হাই কোর্টে। সেখানে দায়মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। তা খারিজ হওয়ার পর রাতেই কেজরীওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশির পর কেজরীওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

[৯] তাঁর দল আম আদমি পার্টি (আপ) জানিয়ে দিয়েছে, কেজরীওয়াল পদত্যাগ করছেন না। দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হলেন।

[১০] কেজরীওয়াল গ্রেপ্তারের পর থেকেই বিরোধী দলগুলি একে একে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছিল। শুক্রবার সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। কেজরীওয়ালের গ্রেপ্তারের নিন্দা করে তিনি মোদি সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ওই পোস্টেই মমতা দাবি করেন, আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করিয়ে জনমানসে প্রভাব ফেলতে চাইছে বিজেপি।